সরকার পতনের ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও আনন্দ উল্লাস’ মৃত্যুর সাথে ৫দিন লড়াই ব্যক্তির মৃত্যু। হত্যাকারীর বিচারের দাবীতে ফুসে ওঠে গ্রামবাসী এবং ভাদালিয়া বাজারে লাশ নিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।
গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে শেখম আলী (৪৮) এর মৃত্যু হওয়ায় হত্যাকারীর বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী ফুসে ওঠে, এবং লাশ নিয়ে ভাদালিয়া বাজারে মানববন্ধন করে। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে এলাকাবাসী শ্লোগান দিতে থাকে আমার ভাই মরলো কেন, বিচার চাই। হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী করে এই মানববন্ধন করেন।
শেখম আলীর ভাই বাবু ও ছেলে রাজু জানান , স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার পতনে এলাকার মানুষ আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। এক পর্যায় ছাত্র জনতা ও ভাদালিয়ার মামুনের লোকজনের সাথে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় টাইগার মামুনের চাচা মোস্তফার সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে সস্তিপুরবাসী। এসময় মামুনের দাপটে তার চাচা মোস্তফা ঢাল সর্কি নিয়ে সস্তিপুরবাসীকে ধাওয়া করে বলে জানা তিনি। স্থানীয় আশরাফুল জানান, পরক্ষনে সস্তিরপুরবাসী টাইগার মামুনের বডি গার্ড রেজার বাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে ও তার বাড়ি ভাঙচুর করে। তিনি জানান সরকার পতনের আনন্দে গত ০৬ আগস্ট কাথুলিয়ার লোকজন সস্তিপুর গ্রামের মাতবর রুহুল আমিনের দোকান পাট ভাঙচুর ও অটো চালক স্বপনের বাড়িতে আগুন দেয়। এদিকে শত্রুতার জেরে বক্কর, শামসুল সহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বাড়িতে মামুনের নেতৃত্বে আগুন দেয় তার লোকজন। স্থানীয়রা জানান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দরবেশপুর বাসী মামুনের বাড়ি ভাঙচুরের উদ্দেশ্য আসে। এসময় সংবাদ পায় টাইগার মামুন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরবেশপুর বাসীকে ধাওয়া না করে সস্তিপুর বাসীকে ধাওয়া করে মামুনের লোকজন। সে সময় অপর দিক থেকে ছাত্র জনতা আনন্দ মিছিল করতে কুষ্টিয়ার উদ্দ্যেশ্য রওনা দেন। পরে মামুনের নেতৃত্বে ভাদালিয়া বাজার থেকে তার লোকজন ধাওয়া করে। এক পর্যায় ধাওয়া খেয়ে স্বস্তিপুরের শেকম আলী (৪৮) মাটিতে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় শেখম আলীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পেশায় শেখম আলী কৃষি কাজ করতেন।
শেখম আলীর ভাই বাবু জানান টাইগার মামুন আমার ভাই শেকম আলীকে যখম করে, পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেখম আলীকে আঘাত করায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে তার ছেলে রাজু সহ পরিবারের সদস্যরা এবং পরে স্বস্তিপুর গ্রামবাসী মামুনের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনার সূত্রপাতে মৃত্যুর সাথে ৫দিন লড়াই করে অবশেষে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শেখম আলী।