কুষ্টিয়া দৌলতপুরে ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধক্ষ্য আব্দুল মান্নান সহ আরো দুই জনের বিরুদ্ধে কলেজের তালা ভেঙে টাকা,ল্যাপটপ ও নথিপত্র লুটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান মাসুম সহ শিক্ষক প্রতিনিধি।বৃহস্পতিবার হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান মাসুম বলেন,গত ১৪ মে (বুধবার) সকালে মোঃআব্দুল মান্নান(৫৮),মোঃইউনুস আলী (৪০) উভয় পিতা-মৃত ইসমাইল সরদার,মোঃমেহেদী
(৩৩) পিতা-একরেজ প্রামানিক,সর্ব সাং-ফিলিপনগর,৩ নং ফিলিপনগর ইউনিয়ন, থানা:-দৌলতপুর,জেলা-কুষ্টিয়া সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, ১ নং বিবাদী মোঃআব্দুল মান্নান, ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ ছিলো।সে জেলা কৃষকলীগ এর সহ সভাপতি ও আওয়ামীলীগ এর সক্রীয় কর্মি হওয়ায় ৫-ই-আগষ্ট-২০২৪ ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যার পৃষ্টপোষক হাসিনা সরকার পতনের পর সে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয় লোকজনদের তোপের মুখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।ফলে এলাকাবাসী,শিক্ষক কর্মচারি ও কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ইং ০৯/০৯/২০২৪ তারিখে আমাকে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এর দ্বায়িত্ব ভার অর্পণ করেন।সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, আমি কলেজের দ্বায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বিবাদী মোঃআব্দুল মান্নান,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং আমাকে খুন জখম করার উপযুক্ত সুযোগ খুজিতে থাকে। বিবাদী আমাকে হুমকি ধামকি দেওয়ায় ইতি পূর্বে দৌলতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করি যাহার জিডি নং-৬৮৫,তারিখ- ১৩/০৯/২০২৪ ইং।ঘটনার দিন ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমি নিজ বাড়ী হইতে মোটর সাইকেল যোগে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া দৌলতপুর থানাধীন ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজে ভিতর ঢুকতেই উপরোল্লেখিত বিবাদীগন সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদী পরষ্পর যোগসাজস করিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে অগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র-সস্র নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে আমার মোটরসাইকেল গতিরোধ করিয়া ১ নং বিবাদী মোঃআব্দুল মান্নান এর হুকুমে,সকল বিবাদীরা আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কায়দায় অত্র কলেজের একটি শ্রেণী কক্ষে অবৈধ ভাবে আটক রাখে।পরে সকল বিবাদীরা আমার অফিস কক্ষের তালা ভাঙ্গিয়া আমার ব্যক্তিগত একটি ল্যাপটপ মূল্য ৬০,০০০/- টাকা,টেবিলের ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ ৪৭,৫০০/- টাকা,রেজুলেশন বহি,শিক্ষক/শিক্ষিকা হাজিরা বহি,গুরুত্ব পূর্ণ অনেক নথি পত্র চুরি করিয়া নিয়ে চলে যায়।পরে মোঃআব্দুল করিম (৫৬) ক্রীড়া শিক্ষক,মোঃ সরোয়ার হোসেন,(৫৮)সহকারী অধ্যাপক,উভয় ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজ,দৌলতপুর কুষ্টিয়া সহ আরো শিক্ষক কর্মচারী আমাকে উক্ত ঘর হইতে উদ্ধার করেন।আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার চাই।সংবাদ সম্মেলনের সময় ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স.ম.সরওয়ার এবং শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।