কুষ্টিয়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সদর শাখার আব্দালপুর ইউনিয়নের মাঠ কর্মী বিপুল কুমার বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে তিনি যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
কুষ্টিয়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সমিতির সদস্যদের কিস্তির টাকা তিনি তুলে নিয়েছেন। অথচ উত্তোলনের টাকা তিনি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে রেখে দেয়। আব্দালপুর ইউনিয়নের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। সত্যটা জানার পর বিপুল কুমার বিশ্বাস তার অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করে। এবং অর্থ ফেরত দিতে রাজি হন। সেই মোতাবেক প্রাথমিকভাবে ২৬ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা তিনি রিকভারি করেছে। এখনো তার কাছে এগারো লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। আগামী ২৫/০৮/২৪ তারিখে বাকি টাকা পরিশোধের কথা রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে বিপুল কুমার বিশ্বাসকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি কিছু বলতে পারব না আপনারা অফিসে যোগাযোগ করুন। ঘটনার সত্যটা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের মত করে রিপোর্ট যা পারেন করেন সমস্যা নেই।
কুষ্টিয়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সদর শাখার ব্যবস্থাপনা মোঃ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু এটা একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেহেতু অনিয়ম থাকতেই পারে তবে আমাদের দৃষ্টিগোচর হলে আমরা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেই। যেমনটি আমরা বিপুল কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নিয়েছি। আমাদের কাছে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে আমরা এগুলো তদন্ত করি। আমাদের আব্দালপুর ইউনিয়নের একটি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানতে পেরে বিপুল কুমার বিশ্বাসকে নিয়ে প্রতিটি সদস্যের বাড়ি বাড়ি নিয়ে যেয়ে তাদের সাথে কথা বলে মোট ২৬ লক্ষ টাকার অনিয়মের তথ্য পেয়েছি। সে ক্ষেত্রে তার সম্পর্কে হেড অফিসে লিখে দেওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও আমাদের কোন সহকর্মী বা মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে যদি অনৈতিক কেলেঙ্কারি বা অর্থ আত্মসাতে তথ্য সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ পায় তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।