কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাল্টু গ্রুপের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। এসময় বসতবাড়িতে হামলা ও বাড়ীঘরের মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা ও নাজিম আলী বিশ্বাসের ছেলে রাজন বিশ্বাস (৩৭) ও জাফর আলীর ছেলে সজল হোসেন (২৮) নামে দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এবং আধিপত্য বিস্তারে বিধ্বস্ত কুমারখালির পাহাড়পুর গ্রামের জনজীবন। এই এলাকার মন্ডল গ্রুপের আমিরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর লাল্টু নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সজীব ও মোমিনসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার সকালে পাহাড়পুর এলাকায় নাজিম উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ী ঘেরাও করে লাল্টুর নেতৃত্বে লাল্টু,সজিব, মমিন, মাসুদ, আমিরুল, সজল, মতিয়ার, আতিয়ার, এনামুল, নান্নু, ওসমান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে পাহাড়পুর এলাকার নাজিম আলী বিশ্বাসের ছেলে রাজন বিশ্বাস (৩৭)।
জাফর আলীর ছেলে সজল হোসেন (২৮)সহ অন্তত ৫জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সকালে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই লাল্টু বাহিনীর শতাধিক সদস্যরা আমাদের বাড়ী ঘিরে রাখে। এরপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করে। পরে লাল্টু তার লোকজন নিয়ে আমাদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জাফর আলীর ছেলে সজল হোসেন বলেন, ‘লাল্টু এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এই হামলা চালিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়াও বাড়ীর মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, লাল্টুর কারনে এলাকায় অশান্তি। আমরা এলাকায় শান্তি চাই। কোনো সংঘাত বা মারামারি চাই না।’ এরআগেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি।
কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়পুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় দলাদলি, আধিপত্য ও জায়গাজমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানায় অভিযোগ করেছে। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।