রাগীব রউফ চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির একজন নিবেদিতপ্রাণ সদস্য, কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার মানুষের কাছে এখন আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। তিনি শুধু একজন বিএনপি নেতা নন, বরং সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ তাঁকে করে তুলেছে অনন্য।
গত শুক্রবার এবং শনিবার তিনি মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিবিড়ভাবে জনসম্পৃক্ততামূলক কর্মকাণ্ড ও গণসংযোগ করেন। এই ধারা বজায় রাখতে, তিনি আগামীতে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকবেন এবং জনসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তাঁর প্রধান লক্ষ্য হলো এই দুই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে সরাসরি মানুষের কথা শোনা ও তাদের চাওয়া-পাওয়া গভীরভাবে উপলব্ধি করা।
এলাকায় এলে তাঁর বেশিরভাগ সময় কাটে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে। তিনি শুধু সাধারণ মানুষের সঙ্গেই নন, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় এবং স্কুল-কলেজে গিয়েও মানুষের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের সমস্যার কথা শোনেন। তাঁর এই জনসংযোগ নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং তিনি মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন, তাদের প্রয়োজন বোঝেন এবং পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন।
ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী নেতাকর্মীদের কথা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনেন। একই সাথে, তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি নেতাকর্মীদের কাছে সুন্দরভাবে এবং ঠান্ডা মাথায় ব্যাখ্যা করেন। তিনি আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং তারেক রহমানের সালাম ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, কোনো নেতাকর্মী যেন কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, দখল বা অন্য কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িয়ে না পড়েন। তিনি আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং ধানের শীষের প্রার্থী তথা বিএনপির প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁর এই নীরব, নিভৃত অথচ কার্যকর কর্মপদ্ধতি কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। অনেকেই মনে করেন, তাঁর উপস্থিতি ও সক্রিয়তা কর্মীদের মধ্যে নতুন করে শ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে।
ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর সরলতা এবং স্বল্পভাষিতা। তিনি বাগাড়ম্বর পছন্দ করেন না; বরং মানুষের কথা ধৈর্য ধরে শোনেন। এই সাদা-মাটা জীবনযাপন এবং সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। তাঁর এই জনসম্পৃক্ততা কেবল রাজনৈতিক সভার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি তাঁর দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ।
তাঁর এই গঠনমূলক ও নিরলস প্রচেষ্টা কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, প্রকৃত জনসেবা কেবল বড় বড় বক্তৃতা বা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নয়, বরং মানুষের পাশে থেকে তাদের কথা শুনে ও তাদের দুঃখ-দুর্দশায় অংশীদার হয়েই সম্ভব। ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী তাই শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি এই দুই উপজেলার মানুষের কাছে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু ও আশ্রয়স্থল।